নিজের অভিমুখীতাকে জানা কতটুকু জরুরী ? এর উত্তরে
কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের লিখা একটি লাইন খুব যুতসই - আলো শুধুপথ দেখায় না, কোথাও যে পথ নাই, তাও দেখায় ।
যৌনতার সবচেয়ে প্রান্তিক অভিমুখীতা হলো অযৌনচিত্ত । ধারনা করা হয়, পৃথিবী ১ ভাগ মানুষ অযৌনচিত্তের। কিন্তু বাংলাদেশে এই মানুষদের সংখ্যা কত ?
২০২০ সালে সূচনা হয়েছে Bangladeshi Asexual Association এর, এখন পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে প্রায় ১০০ জনের দৃষ্টিগোচরতা পেয়েছি। তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী এখানে ১৮ লক্ষ মানুষের অযৌনচিত্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা প্রায়শই নানা উদ্যোগ নেই এটা জানার উদ্দেশ্যে যে আদৌ বাংলাদেশে কতজন অযৌনচিত্ত জানেন,'তারা অযৌনচিত্ত', তারা কি অবস্থায় রয়েছে? যে সকল যৌনচিত্ত ব্যক্তি নিজেদের অভিমুখীতা সম্পর্কে এখনো অবগত/নিশ্চিত নন, তারা কি নিরাপদ রয়েছেন ?
মনে রাখতে হবে যে, অভিমুখীতা বুঝতে পারা জীবনে কোন জাদুকরী পরিবর্তন নিয়ে আসে না। কোন কিছু বদলায় না। সহজ তো না-ই ,অভিমুখীতা বুঝতে পারা যে আপনাকে সুখেরপথে নিয়ে যাবে - এমনটাও না।
তবে অভিমুখীতা বুঝতে পারা আমাদের জীবনে সুখ দিতে না পারলেও আলো দিয়েছে।অন্ততঃ আমরা কেন সুখী না তা আমরা জানি এবং বুঝি। এটাও কম সৌভাগ্যের বিষয় নয়।
বিবর্তন থেকে উৎপত্তির সম্ভাবনা রয়েছে এমন সমস্ত অভিমুখীতার ক্ষেত্রেও হয়তো কথাটা প্রযোজ্য।কারণ বিবর্তন নিষ্ঠুর - বিবর্তন শুধু প্রজাতির টিকে থাকার পথে কাজ করে - ব্যক্তির নয়। দ্য টাফেস্ট উইল সারভাইভ।
বাঙ্গালী সমাজে নারী-পুরুষ বিবাহ করার মাধ্যমে শারীরিকভাবে মিলিত হবার বৈধতা পায়। এবং বিবাহের পূর্বে বহু মানুষই জানে না তাদের অভিমুখীতাসম্পর্কে। আবার অনেকে নিজের অযৌনতা জেনেও পারিবারিক চাপে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য হন। এবং তাদের অনেকেই নিয়মিত যৌন নিগ্রহের শিকারও হয়ে থাকেন।
আমরা আমাদের সদস্যদের নিকট থেকে জানতে পারি যে, তারা জীবনে একটি ভঙ্গুর পর্যায়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবাদনকারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন, এবং প্রায় সকলকেই খুবই ভুল treated হয়েছেন। প্রায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবাদনকারীর তাদের ‘Psycho-sexual disorders’ আক্রান্ত দাবী করে সেক্স থেরাপী গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কিছু sex repulsed মানুষকে OCD এবং Germophobia –এ আক্রান্ত বলে দাবী করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য মারাত্মক হতাশার ও খুবই আশঙ্কাজনক।
コメント